প্রতিনিধি, বগুড়া: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সিলগালা করা গুদাম থেকে চাল চুরির মুল হোতা যুবলীগ নেতা শাহাদত হোসেন। চাল চুরির ঘটনায় করা মামলায় শাহাদতের নাম না থাকলেও গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে তার নাম। এরই মধ্যে পুলিশ চাল চুরির সঙ্গে জড়িত ট্রাক ড্রাইভার বেলাল হোসেন (৩৫), হেলপার রুসাত (২৮) ও ভটভটি চালক রায়হান কবিরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে। সেইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে গুদাম থেকে চুরি করা চাল বহনের কাজে ব্যবহƒত ট্রাক (যশোর-ড-১১-০৮৮৪)।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেছে, যুবলীগ নেতা শাহাদত হোসেনের পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় তারা গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সিলগালা করে রাখা এক হাজার ১৩০ বস্তা চালের মধ্য থেকে এক হাজার ১২৪ বস্তা চাল রাতের আঁধারে চুরি করে। এরপর ট্রাক ও ভটভটিযোগে এসব চাল শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া বন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দি থানাধীন বাগবের গ্রামে শাহাদত হোসেনের নির্মাণাধীন বাড়িতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। শাহাদত হোসেন সারিয়াকান্দি উপজেলা যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। সেখানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক হাজার ১৩০ বস্তা চাল জব্দ করে সিলগালা করে ওই ভবনের একটি কক্ষে রাখা হয়। গত ২২ ডিসেম্বর বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতিকুর রহমান সিলগালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন, ওই চালের মধ্যে এক হাজার ১২৪ বস্তা চালের প্রতি বস্তায় অনুমান ৩০ কেজি করে সর্বমোট ৩৩ হাজার ৭২০ কেজি চাল নেই। ওই রাতেই সারিয়াকান্দি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতিকুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্তকালে পুলিশ গতকাল শনিবার ভোররাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুরি করা চাল বহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী সারিয়াকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, চাল চুরির মূল হোতা শাদাদত হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজন আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।