রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি দাম বেড়ে ১০০ টাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও এক টাকা বাড়িয়েছে ডলারের দাম। গতকাল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ থেকে প্রতি ডলার ১০০ টাকায় বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতদিন ডলারের দর ছিল ৯৯ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ দরে ডলার বিক্রি করছে না ব্যাংকগুলো। গতকাল মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১০৪ টাকা ৩৫ পয়সা, সর্বনিন্ম ১০৩ টাকা ৪৪ পয়সা। গত বছরের মে মাসে প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ১৭ টাকা ৯ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে যে ডলার বিক্রি করেছে, তা সব ব্যাংককে দেয়া হয় না। সরকারের প্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্য ব্যাংকগুলোকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে ডলার কিনে আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৯ বিলিয়নের মতো ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলারের দরে একটা পার্থক্য রয়েছে। এ পার্থক্য কমিয়ে এনে সমান রেট করা হবে। তখন দেশে ডলার রেট এক হবে। অভিন্ন রেট থেকে আস্তে আস্তে সরে আসতেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আশা করি, আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে এ পার্থক্য থাকবে না।

জানা যায়, রিজার্ভ ধরে রাখতে আগের মতো ডলার সহায়তা দিচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে রিজার্ভের অর্থে গঠিত অভ্যন্তরীণ ঋণ তহবিলগুলোর কার্যক্রম গুটিয়ে আনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে রিজার্ভের অর্থে গঠিত বৈদেশিক মুদ্রার গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের (বিআইডিএফ) কোনো প্রকল্পেও নতুন করে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) চালু থাকলেও পর্যায়ক্রমে এর আকারও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ আকার কমিয়ে নতুন করে রপ্তানিকারকদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তঃব্যাংক ও গ্রাহক পর্যায়ে সব ব্যাংকেই বর্তমানে ভাসমান বিনিময় দর অনুসরণ করছে। তবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে নিজেদের নির্ধারিত আলাদা দর অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাকে বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সেলিং রেট’। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক যে দামে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করত সেটিকে ‘ইন্টারব্যাংক এক্সচেঞ্জ রেট’ বা আন্তব্যাংক লেনদেন হার নামে অভিহিত করা হতো।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০