দেশের সর্বনিন্ম ৮.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বিরাজ করছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৩ দিনের পূর্ভাভাস অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও কমবে।

জানা যায়, সারাদেশের মধ্যে এ উপজেলায় এটি সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চা বাগানসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন সর্বনিন্ম তাপমাত্রা থাকায় কাজে যোগ দিতে বের হতে পারছেন না। এদিকে পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও পড়েছেন প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কবলে। ঠাণ্ডার কারণে এখানে আসা পর্যটকরা হোটেল রিসোর্ট থেকে কম বের হচ্ছেন।

তাছাড়া গত টানা কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় এখানকার জনজীবন নীরব হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলা প্রচুর ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে এখানে। রাতের বেলা কুয়াশার কারণে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে। চা বাগান অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গলে চা বাগানের শ্রমিক ও নিন্ম আয়ের লোকজন ঠাণ্ডায় বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।

ভাড়াউড়া চা বাগানের সঞ্জয় গোয়ালা শেয়ার বিজকে বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড পরিমাণে ঠাণ্ডা পড়ায় ঘর থেকে অনেকে বের হতে পারছে না। আমাদেরও দোকানে আসতে সমস্যা হচ্ছে। কুয়াশা থাকার কারণে সাইকেল চালাতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া ঠাণ্ডার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ যাচ্ছে। কেউ আসছে না টাউনে। আজ রোদ উঠছে, আশা করছি আজ ব্যবসা একটু ভালো হবে।’

উপজেলার খাইছড়া চা বাগানের শ্রমিক রাজু নুনিয়া শেয়ার বিজকে বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে রাতের বেলা চা বাগান এরিয়াতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ে। বাগানগুলোয় চা শ্রমিকরা অনেক কষ্ট করে থাকেন। সবার ঘরে পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। বাগানগুলোয় সরকারি সহযোগিতা দরকার।’

শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা ফারুক মিয়া শেয়ার বিজকে বলেন, ‘পরিবারের ছোট-বড় সদস্যদের নিয়ে এসেছি শ্রীমঙ্গল ঘুরতে। এ এলাকায় এত ঠাণ্ডা আগে বুঝিনি। ছুটি নিয়ে দুদিনের জন্য ঘুরতে এসে আটকে পড়েছিলাম। আজ সকালে রোদ উঠায় দিনের বেলায় একটু বের হয়েছি। রাতে ঢাকায় ফিরে যাব।’

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আজ দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। আজ সকাল ৯টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সূর্য দ্রুত ওঠার কারণে ঠাণ্ডা একটু কম অনুভব করা যাচ্ছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে শীতের তীব্রতা।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী শেয়ার বিজকে জানান, ‘গত কয়েকদিন আগে কিছু রোগী এসে ভর্তি হয়েছিল ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে। তবে সপ্তাহ খানেক ধরে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী আসেনি। তবে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সবাই যেন গরম কাপড় ও গরম পানি সবসময় ব্যবহার করে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০