শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও সেখানকার স্পিকার হতে পারছেন না দলটির নেতা কেভিন ম্যাকার্থি। টানা তিন দিন ১১ বার ভোটাভুটি করার পরও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে কাউকে নির্বাচন করা যায়নি। ১৮৬০ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। ওই বছর ৪৪ বার ভোটাভুটির পর স্পিকার নির্বাচন হয়েছিল। খবর: বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক পোস্ট।
স্পিকার নির্বাচনের প্রতিটি ভোটেই রিপাবলিকান পার্টির ২০ সদস্য ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন। ফলে তিনি স্পিকার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভোট পাচ্ছেন না।
কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে কয়েক দিন ধরে হইচই চলছে। নিজেদের নতুন স্পিকার নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছেন আইনপ্রণেতারা। দফায় দফায় ভোটাভুটির আয়োজন করতে হচ্ছে। কংগ্রেসের নি¤œকক্ষে যখন আরও ক্ষমতার জন্য বিদ্রোহ চলছে, তখন নিজেদের কাজটা সেরে নীরবে শহর ছেড়েছেন উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্যরা। উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে জাতি।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এ অচলাবস্থা নতুন কিছু নয়। ঠিক ১০০ বছর আগেও কংগ্রেসের নিন্মকক্ষে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০২৩ সালে এসে কেভিন ম্যাকার্থি যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, ১৯২৩ সালে একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন আরেক রিপাবলিকান নেতা ফ্রেডেরিখ এইচ গিলেটও।
কেন এই অচলাবস্থা: প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান সামান্য। এতে তাদের আসনসংখ্যা ২২২টি। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির আসনসংখ্যা ২১২টি। স্পিকার হতে রিপাবলিকান ম্যাকার্থির প্রয়োজন ২১৮ ভোট।
স্পিকার হতে রিপাবলিকান পার্টির কট্টরপন্থি আইনপ্রণেতাদের ভোট প্রয়োজন ম্যাকার্থির। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার এ রিপাবলিকান প্রতিনিধিকে স্পিকার পদে সমর্থন দিচ্ছেন না পার্টিরই উগ্র ডানপন্থি আইনপ্রণেতারা। ফলে স্পিকার হতে ২১৮ ভোটের ম্যাজিক ফিগার নিশ্চিত করতে পারছেন না তিনি।
কারা এ ভিন্নমতাবলম্বী: স্পিকার নির্বাচনের ভোটাভুটিতে ২০ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পরিষদের সবচেয়ে ডানপন্থি কয়েকজন আইনপ্রণেতাও রয়েছেন। এ আইনপ্রণেতাদের অনেকেই ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল অস্বীকার করে আসছেন। আর তাদের প্রায় সবাই উগ্র রক্ষণশীল ফ্রিডম ককাসেরও সদস্য।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ওই নির্বাচনে বাইডেনের কাছে পরাজিত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারচুপির অভিযোগ এনে তখন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, নির্বাচনে তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।