নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান চার পয়সা কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৮ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান চার পয়সা কমেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১০ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান চার পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৮২ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৫ টাকা ৯৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো নগদ অর্থপ্রবাহ হয়নি, আগের বছর একই সময়েও কোনো নগদ অর্থ প্রবাহ ছিল না সেন্ট্রাল ফার্মার।
গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৪টি শেয়ার ৪৭৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে এক পয়সা (লোকসান)। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেও কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৫৩ পয়সা।