নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। আর আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ১২ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ২৮ পয়সা। এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা ৯৫ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ১৯ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৩৭ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল সাত টাকা ৪২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৯৫ টাকা চার পয়সা।
এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭২ পয়সা।
২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২১১ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৪৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২১ কোটি ১৬ লাখ এক হাজার ৭০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৩০ দশমিক ১৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।