প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞায় মাছ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের অনীহায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানী বন্ধ হয়। অবশেষে ত্রিপুরা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ‘ফুড সেফটি অ্যাণ্ড স্ট্যাণ্ডার্ড অথরিটি অব ইণ্ডিয়া (এফএসএসএআই)’ এর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে পাঁচ দিনের মাথায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানী ফের শুরু হয়েছে।
সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ভারতের আগরতলাগামী মাছবাহী সারিসারি গাড়ি স্থলবন্দরে অবস্থান নেয়ায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যতা।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানিকৃত মাছসহ বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের গুণগত মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল সঙ্কটে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
ফলে গত ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানী বন্ধ হয়ে পড়ে। মাছ রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে মাছের ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়। যার ফলে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি লিখেন এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সরাসরি কেন্দ্রীয় ফুড সেফটি অ্যাণ্ড স্ট্যাণ্ডার্ড অথরিটি অব ইণ্ডিয়া (এফএসএসএআই)’ এবং ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে জোরালো আহ্বান জানান। মূখ্যমন্ত্রীর এই হস্তক্ষেপে পাঁচ দিনের মাথায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে বাংলাদেশ থেকে মাছ ভারতে রপ্তানী শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাজারগুলোতে পাঠানো হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানী মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে এক লাখ ডলারের মাছ ভারতের পূর্বোত্তর ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানী করা হয়। এই খাত থেকে বাংলাদেশ সরকার প্রতিদিনই আয় করে থাকেন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।