শেয়ার বিজ ডেস্ক: হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার ৪৭ জনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার চীনের বিশেষ প্রশাসনিক প্রদেশটির ওয়েস্ট কাউলুন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিচারকাজ শুরু হয়। এটি হংকংয়ের নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় সবচেয়ে বড় মামলা। খবর: বিবিসি।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন হংকংয়ের কয়েকজন বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থি ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাক্টিভিস্ট জোশুয়া ওয়াং। ২০২১ সালের মার্চে তাদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করার অভিযোগে মামলা করা হয়।
২৬ বছর বয়সী জোশুয়া ওয়াং তার প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য তিনবার জেলে গেছেন। তার সঙ্গে বিচার চলছে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বেনি তাইয়ের (৫৮)। আরও রয়েছেন সাবেক সাংবাদিক গুইনেথ হো (২৬), যিনি ২০১৯ সালে ইউয়েন লং শহরের বিক্ষোভ প্রচার করেছিলেন এবং সাবেক আইন প্রণেতা ক্লডিয়া মো (৬৬), যিনি আট বছর ধরে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন।
আইনটি নানা কারণে বিতর্কিত। সমালোচকরা বলছেন, এ আইন ভিন্নমত দমন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে চীন ও হংকং কর্তৃপক্ষ মনে করে, বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ আইনের দরকার রয়েছে।
জানা যায়, আসামিরা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। তবে তাদের মধ্য থেকে ১৬ জন নির্দোষ বলে প্রমাণিত হতে পারে। বাকি ৩১ জনকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছেন ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে তাদের সাজার রায় ঘোষণা করা হবে।
২০২১ সালের মার্চে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনসভা নির্বাচনের আগে একটি বেসরকারি প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সরকার ধ্বংসের বা চীন ও হংকংয়ের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চক্রান্ত বলে দাবি করেন।
প্রসিকিউটরদের দাবি, আসামিরা আইনসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্দেশ্যে প্রার্থী বাছাই করার জন্য একটি প্রাথমিক নির্বাচন করতে গিয়েছিলেন, যা কোনোভাবে আইনসম্মত নয়। বেইজিংয়ে নিযুক্ত প্রধান নির্বাহীকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন ও আইন পাসে বাধা দিতে তারা ওই সুসংগঠিত পরিকল্পনা করেছিলেন।
