আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ফের মাছ রপ্তানি শুরু

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভারতের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে মাছ রপ্তানি। গতকাল সোমবার সকাল থেকে মাছ রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।

এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১টি ট্রাকে করে প্রায় ৫০ টন মাছ রপ্তানি হয় ভারতে। ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার হস্তক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি রপ্তানি বন্ধ থাকায় অন্তত দুই কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

মাছ রপ্তানিকারক সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন বরফায়িত মাছ রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। সপ্তাহের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার এ চার দিন মাছ রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছ রপ্তানি হয় আড়াই মার্কিন ডলারে। মূলত মাছের ওপর ভর করেই টিকে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য।

তবে মান যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল সংকটের কারণ দেখিয়ে ভারতের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মাছ, মাংস ও পোলট্রিজাত খাদ্য আমদানিতে এক মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এর ফলে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্রিপুরার মাছের বাজারগুলোতে।

মূলত বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত মাছের ওপর নির্ভরশীল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলাসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলো। এর ফলে মাছের চাহিদা অনুযায়ী জোগান স্বাভাবিক রাখতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে হস্তক্ষেপ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রাজ্য সরকার থেকে চিঠি দিয়ে প্রত্যাহার তুলে নেয়ার দাবি জানালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ত্রিপুরায় মাছের যেন সংকট না হয়, তাই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় ফের মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০