নিজস্ব প্রতিবেদক: কোন কোন দিন কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ, তা আগেই ঘোষণার অনুরোধ করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি অনুরোধ জানাব, কোন দিন আপনাদের কোন কর্মসূচি হবে এখনই ঘোষণা দিয়ে দেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে আমাদের কর্মসূচিগুলো নিরাপদ জায়গা শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারব। কিন্তু আমরা কর্মসূচি ঘোষণার পরে আওয়ামী লীগ যদি কর্মসূচির দেয় বুঝেই নিতে হবে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশে একটা গণ্ডগোল লাগানোর চেষ্টা করছে।’
গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস দলের পক্ষে এসব কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি, আওয়ামী লীগ শান্তি মিছিল, শান্তি সমাবেশ করছে। কখন? যখন আমরা সমাবেশ করছি তখন। আজ এই সংবাদ সম্মেলন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের বলতে চাই, আপনারা কয়েকদিন আগে বলেছেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বছরব্যাপী কর্মসূচি দিয়ে যাবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আওয়ামী লীগ ‘পাল্টা কর্মসূচির’ নামে সন্ত্রাসকে উসকে দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কোনো রাজনৈতিক দল পাল্টা কর্মসূচি দিলে বুঝতে হবে তারা একদম দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের আসলে শক্তি শূন্যের কোঠায়। ভয়ে ভীত হয়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এটা কোনোভাবে সাধারণ মানুষ গ্রহণ করে না।’’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘তারা অন্যদিন করুক কর্মসূচি করুক। আমরা যেদিন কর্মসূচি ঘোষণা করবো সেদিনই তাদের কর্মসূচি দিতে হবে কেন? এটার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়, এই সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। তারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ, নোয়াখালী, ঝালকাঠি, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, বরগুনা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও, নাটোর, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ভোলা, বরিশাল, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী, মাগুরা, যশোর, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা, পঞ্চগড়, কক্সবাজার, পাবনা, রংপুর, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলার ইউনিয়ন পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশি হামলার ঘটনার চিত্র তুলে ধরেন খন্দকার মোশাররফ।
এসব হামলার ঘটনায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, পাঁচ শতাধিক আহত, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নরসিংদীর পলাশে তার ইউনিয়নের পথযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা দেয়ার ঘটনা তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এভাবে হামলা করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেনÑদলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
