শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকের পর বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে পাকিস্তান। গত রোববার এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাবনা দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এতদিন ভোক্তা ও রপ্তানিকারক পর্যায়ের বিদ্যুতে ভর্তুকি দিত পাকিস্তান সরকার; কিন্তু নতুন প্রস্তাবনা পাসের পর এখন থেকে তা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি চলতি বছরেই চার ধাপে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭ দশমিক ৯১ পাকিস্তানি রুপি বাড়ানো হবে। খবর: এনডিটিভি।
এদিকে জিও টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের শুল্ক বাড়বে ১৫ দশমিক ২৮ রুপি এবং জুলাই মাসে এ শুল্প বেড়ে পৌঁছাবে ২৩ দশমিক ৩৯ রুপিতে।
এছাড়া সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ের বিদ্যুতে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি রুপি এবং রপ্তানিকারক ও কৃষক পর্যায়ে প্রতি বছর বিদ্যুৎ খাতে যে ৬ হাজার ৫০০ কোটি রুপি এবং ভর্তুকি দেয়া হতো তাও আগামী মার্চ মাস থেকে বাতিল হচ্ছে। ফলে চলতি বছরের শেষে এ বিপুল অর্থ সরকারি তহবিলে থেকে যাবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর শিগগিরই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এই পদক্ষেপ আইএমএফের কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি।
প্রসঙ্গত, রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ, দুর্নীতি, আর্থিক অব্যবস্থাপনা-অনিয়মের জেরে গত কয়েক বছর ধরেই আর্থিক সংকট চলছে পাকিস্তানে। গত বছর থেকে এই সংকট ঘনীভূত হওয়া শুরু হয়েছে পাকিস্তানে এবং বর্তমানে তা তীব্র রূপ নিয়েছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারে আইএমএফের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ঋণের (বেইলআউট লোন) আবেদন করে পাকিস্তান। আইএমএফ এই ঋণ সহায়তার আবেদন খারিজ করেনি, কিন্তু পুরোপুরি মঞ্জুরও করেনি এ পর্যন্ত।
খারিজ কিংবা মঞ্জুরের পরিবর্তে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছু শর্ত দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ঋণদাতা সংস্থা। সেসবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত ছিল ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার।