শেয়ার বিজ ডেস্ক: ক্রিমিয়া উপদ্বীপটিকে মস্কো সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিষয়ক উপ-পরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। তিনি বলেছেন, উপদ্বীপটি ‘অসামরিকীকরণ’ না হলে ইউক্রেন নিরাপদ হবে না। ওয়াশিংটন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কার্নেগি এনডাউমেন্টের সঙ্গে ভিডিও সাক্ষাৎকারে গত বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর এএফপি।
নুল্যান্ড বলেন, ‘ইউক্রেনীয়দের একটি স্থায়ী মানচিত্রে যেতে হবে। ক্রিমিয়ার সংকট সমাধানের আগে তাদের কাছে একটি কার্যকর রাষ্ট্র হতে হবে। বর্তমানে ইউক্রেনীয়রা সেদিকেই মনোনিবেশ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ইউক্রেন তাদের প্রাপ্য আন্তর্জাতিক সীমানাগুলো বুঝে নিক। যার মধ্যে ক্রিমিয়াও আছে।’
১৯৫৪ সালে ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৪ সালে এক অভিযানের মাধ্যমে ক্রিমিয়া দখল করে নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।
নুল্যান্ড জোর গলায় বলেন, ‘ইউক্রেন ততক্ষণ নিরাপদ হবে না, যতক্ষণ ক্রিমিয়া নিরস্ত্রীকরণ না হয়। মস্কো উপদ্বীপটিকে সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। সেখানে কমান্ড পোস্ট, লজিস্টিক ডিপো এবং বিমানঘাঁটি রয়েছে। ইউক্রেন এসব স্থাপনায় বৈধভাবে আঘাত হানছে। আমরা এটিকে সমর্থন করছি।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পলিটিকো জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্বীকার করেছেন যে, ক্রিমিয়া দখলে ইউক্রেনকে ওয়াশিংটন ‘সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত’ করছে না। উপদ্বীপে যেকোনো পদক্ষেপ হবে ‘কিয়েভের একার সিদ্ধান্ত।’
কীভাবে এ সংঘাতের শেষ দেখেছেন জানতে চাইলে নুল্যান্ড বলেন, ‘পশ্চিমাদের কখনই রাশিয়াকে বিশ্বাস করা ঠিক হবে না, বিশেষ করে যতক্ষণ না ভøাদিমির পুতিন ক্ষমতায় আছেন। যদি কোনো শর্তে যুদ্ধ শেষ হয়, তারপরও ইউক্রেনকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেনাবাহিনীকে গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র গত এক বছরে ইউক্রেনের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও ওয়াশিংটন জোর গলায় বলে আসছে, তারা সংঘাতের পক্ষে নেই।