নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় দায়িত্বে থাকাকালীন খাদ্য গুদামে ওএমএস চালের ১২টি চালানে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
রোববার তার বিরুদ্ধে দুদকের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে পাঁচ সদস্যের একটি টিম নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, সংগৃহীত রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট টিম সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিল করবে।
অভিযানকালে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১ জুন থেকে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে মোট ২৩টি চালানের বিপরীতে খাদ্য গুদাম থেকে বিভিন্ন ডিলারদের চাল সংগ্রহের জন্য ডেলিভারি অর্ডার দেয়া হয়। তবে ওইসব চালানে বিপরীতে সরকারি কোষাগারে কোনো অর্থ জমা না হওয়া সত্ত্বেও সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত ডেলিভারি অর্ডারের মাধ্যমে ডিলাররা খাদ্য গুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করেন। ওএমএস এর মাধ্যমে তা খোলাবাজারে বিক্রিও করেন। সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রাদি পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম দেখতে পায়, দীর্ঘদিন পর ওইসব চালানের মধ্যে কিছু চালানের বিপরীতে তছরূপ হওয়া অর্থ বিভিন্নভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। তবে রোববারের অভিযান পরিচালনাকাল পর্যন্ত একটি চালানের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি।
জানা যায়, সাইদুর রহমান গত ২৭ জানুয়ারি বদলি হয়েছেন। বর্তমানে এমরান হোসেন ভূঁইয়া এখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। তবে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।