প্রতিবেদক, কুবি :কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ক্যাম্পাসে দিন দিন বেড়ে চলছে মশার প্রকোপ। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দিন-রাতে অতিষ্ঠ হচ্ছেন মশার কামড়ে। এমনকি শ্রেণি কক্ষ, আবাসিক হল, গ্রন্থাগারসহ সব জায়গায় মশার উপদ্রব। এ কারণে ডেঙ্গু আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মশার জন্য দিনে কোথাও বসে পড়ালোখা এবং আড্ডা দেয়া যায় না। এক জায়গায় বসলেই ঘিরে ধরছে মশার ঝাঁক। আবাসিক রুমে মশার কয়েল জ্বালিয়েও রক্ষা পাওয়া যায় না। এ কারণে দিনেও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয় আবাসিক শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিন থাকলেও এর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। বিভিন্ন অনুষদ, শহিদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল, গ্রন্থাগার, মসজিদ ও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে দিনে মশার প্রকোপ কম থাকলেও সন্ধ্যা নামতে বেড়ে যায় মশার উপদ্রব।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, মশার কারণে পড়ার টেবিলে বসতে পারি না। দিনের বেলা মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়। এমনকি মশার কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাওয়া যায় না। যারা গণরুমে থাকেন, তাদের সমস্যা আরও বেশি। শিগগির প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
শহিদ ধীরেন্দ্র দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলী আহমেদ শ্রাবণ বলেন, হলে মশার জন্য পড়তে পারি না। এমনকি ক্লাসেও বসা যায় না। বিভিন্ন অনুষদের আশপাশে ময়লা ফেলার কারণে ক্লাসেও ব্যাঘাত ঘটে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন দিলেও সেগুলো প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ফলে দিন দিন বাড়ছে মশা।
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাহিদা আক্তার নীরা বলেন, ‘আমি মশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় মশার প্রকোপ। যতক্ষণ মশার কয়েল ব্যবহার করি ততক্ষণ ভালো থাকা যায়। কিন্তু মশার কয়েল দিয়ে কতক্ষণ থাকা যায়। আবাসিক কক্ষ ও ক্লাসরুমে মশার যন্ত্রণায় পড়াশোনা করতে পারছি না।’
আবাসিক শিক্ষক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাহাদ জিয়া বলেন, শীতকাল যেহেতু চলে গেছে, মশা একটু বেড়েছে। আগে থেকে উদ্যোগ নিলে হয়তো এত মশার উপদ্রব হতো না। তাই প্রশাসনের উচিত শিগগির একটা ব্যবস্থা নেয়া।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিটি হলের প্রভোস্টরা যদি এ বিষয়ে অবগত করেন তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, আমি এখন জানলাম। ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব কমানোর জন্য আমরা শিগগির ব্যবস্থা নেব।