সকাল, দুপুর কিংবা রাত। সময় পেলেই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন শামীমা আখতার চৌধুরী। অষ্টম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন তিনি।
বর্তমানে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুরারিচাঁদ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মুরারিচাঁদ কলেজের অন্যতম প্রিয়মুখ শামীমা চৌধুরী। কলেজের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কলেজের একমাত্র নাট্যসংগঠন থিয়েটার মুরারিচাঁদের সম্পাদক তিনি। কলেজের অন্য সংগঠন যেমন মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা ছাত্র সমন্বয় পরিষদেরও সদস্য তিনি। সিলেটের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কথাকলির’ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কলেজের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখই নন তিনি, সিলেট বিভাগের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্বও। এছাড়া রেডিওতে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করেন শামীমা চৌধুরী।
কলেজ ও কলেজের বাইরে শামীমা চৌধুরী শিশুদের আবৃত্তি শেখান। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাটকের দিকনির্দেশনা দেন। ব্যক্তিগত জীবনে শামীমা চৌধুরী এক ছেলের জননী। ছেলে বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
এত কাজ এক সঙ্গে সামলান কীভাবে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মানুষের অসাধ্য বলতে কিছু নেই। আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। ইচ্ছে থাকলে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে অনেক কাজ এক সঙ্গে করতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি একটি ছেলে বা মেয়ে যদি কখনও একটা ভালো কবিতা পড়ে, গান গায়, তবে সে কখনই বিপথে পা বাড়াবে না।’ সাংস্কৃতিকচর্চার মাধ্যমে অনেক সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলা সম্ভবÑএমনই বিশ্বাস তার।
শামীমা চৌধুরী এ বছর উর্বশী সম্মাননা পদক-২০১৭ অর্জন করেন। এর বাইরেও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
আজহার উদ্দিন শিমুল সিলেট
Add Comment