শ্রীলঙ্কার প্রধান খাতগুলোয় ধর্মঘট নিষিদ্ধ

শেয়ার বিজ ডেস্ক:শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকটি প্রধান খাতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। দেশটির সরকার গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেয়। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

মূলত ব্যাপক উচ্চকর ও ইউটিলিটি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কান ইউনিয়নগুলোর জাতীয় ধর্মঘট শুরুর এক দিন আগে এ পদক্ষেপ নেয়া হলো। গতকাল বুধবার এ ধর্মঘট শুরুর কথা ছিল।

ব্যাংক কর্মচারী এবং সরকারি হাসপাতালের কর্মচারীরাসহ শ্রীলঙ্কার ৪০টির বেশি ট্রেড ইউনিয়ন জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে করহার দ্বিগুণ করার প্রতিবাদে তারা বুধবার কাজ করবেন না। বিক্রমাসিংহে সরকারের আদেশ সত্ত্বেও তা অমান্য করে বুধবার নিজেদের নির্ধারিত ধর্মঘট পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল ট্রেড ইউনিয়নগুলো।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের প্রতি শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। তার সরকার ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে এবং এক বছরের বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পর আইএমএফের ঋণ পেতে মানুষের ওপর করও বাড়িয়েছে। এসব কারণে প্রেসিডেন্টের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছে, প্রয়োজনীয় পরিষেবা চালু রাখা-সংক্রান্ত আদেশ জারির জন্য প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। ফলে ট্রেড ইউনিয়নের পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডকে কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, গণপরিবহন, খাদ্য বা কয়লা, তেল, জ্বালানি সরবরাহ, সড়ক, রেল বা আকাশপথে পরিবহনের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধাসহ বিমানবন্দর, বন্দর ও রেললাইনগুলোকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে। প্রয়োজনীয় পরিষেবা-সংক্রান্ত এ আদেশ কেউ অমান্য করলে তার চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ট্রেড ইউনিয়নগুলো ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা চালু রাখা-সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিকে ফের দাঁড় করানোর জন্য আইএমএফের কাছে জরুরিভিত্তিতে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বিক্রমাসিংহের সরকার। এ ঋণ না পেলে দেশটির জন্য ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব হতে পারে। কিন্তু ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে কিছু শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এর জেরে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি মানুষের ওপর সরকার কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০