নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার সর্বনি¤œ সীমা) তুলে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে বেশিরভাগ সংশ্লিষ্টদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আবার কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। গতকাল বুধবার বিএসইসি থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত বছরের ২৮ জুলাই আরোপ করা ফ্লোর প্রাইস বা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১৬৯ কোম্পানির গড় দর ফ্লোর প্রাইস হবে। তবে ওই দুই পদ্ধতির মধ্যে যেটি কম, সেটিই হবে নতুন ফ্লোর প্রাইস। এর আগের নির্দেশনায় ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম একদিনে সর্বোচ্চ এক শতাংশ কমতে পারবে বলে জানানো হয়।
পুনরায় যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয় সেগুলো হলোÑসাধারণ বিমা খাতের ৩১টি, জীবন বিমা খাতের ৬টি, ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ড খাতের, বস্ত্র খাতের ২৬টি, প্রকৌশল খাতের ১৬টি, ১০টি খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের, আর্থিক খাতের ১০টি, বিবিধ খাতের ৯টি, ৫টি ওষুধ ও রসায়ন খাতের, ৪টি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের, পাট খাতের ৩টি, ৩টি চামড়া খাতের, ৩টি কাগজ ও মুদ্রণ খাতের, সিমেন্ট খাতের ২টি, বিদ্যুৎ খাতের ২টি এবং সেবা ও আবাসন খাতের বাংলাদেশ সার্ভিসেস, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শমরিতা হসপিটাল এবং সিরামিক খাতের স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস।
পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতন দেখা দিলে গত বছরের ২৮ জুলাই প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় বিএসইসি। এতে বাজারে দরপতন কিছুটা কমলেও লেনদেন তলানিতে নেমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
এছাড়া সার্কিট ব্রেকারের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০০ টাকার নিচে থাকা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। একইভাবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানের ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকলে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে থাকলে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে থাকলে ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার ওপরে হলে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে।