নিজস্ব প্রতিবেদক:রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৪ টাকা। নতুন এ দাম গতকাল বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। গতকাল ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) এক বৈঠকে রপ্তানি আয়ে ডলারের নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বাফেদা ও এবিবির এ সিদ্ধান্ত গতকাল সব ব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
বাফেদার চিঠিতে বলা হয়, এখন থেকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের জন্য প্রতি ডলারের দাম হবে ১০৪ টাকা। গত ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ডলারের দাম ১০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগের মাসে রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০২ টাকা। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকরা আগের তুলনায় বেশি অর্থ পাবেন।
এদিকে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আগের মতো ১০৭
টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ প্রবাসীরা বৈধ পথে বিদেশ থেকে যে ডলার পাঠাবেন, তার বিপরীতে প্রতি ডলারের জন্য ১০৭ টাকা করে পাবেন উপকারভোগীরা। এছাড়া আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য হবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের জন্য ঠিক করা দামের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও বাড়ে। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর দুই সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণের কাজ শুরু করেন।