হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলার আমদানি

প্রতিনিধি, হিলি:রোজাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলার আমদানি। প্রতিদিন ভারত থেকে ছোলার আমদানি হচ্ছে গড়ে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে রোজা উপলক্ষে ছোলার চাহিদা রয়েছে; তাই আমদানি করা হচ্ছে। তাছাড়া রোজায় যেন ছোলার দাম বৃদ্ধি না পায়

সে লক্ষ্যে আমদানি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে কম দামে কিনতে পেরে এই বন্দরে ভিড় করছেন পাইকাররা।

হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য যেমনÑচাল, ডাল, ভুট্টা, ভুসি, খৈল, পাথর, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা আমদানি হয়ে থাকে। তবে সামনে রমজান মাস। এই রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছোলাবুট, মসুর ডাল, খেসারি ও পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই রোজাকে কেন্দ্র করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।

আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ হারুন বলেন, এই ছোলাবুট ভারতের রায়পুর থেকে আমদানি হচ্ছে। চাহিদা থাকায় ও দাম ভালো পাওয়ায় আমদানি করছে এ পণ্যটি। ছোলাবুট ভারত থেকে ৯০ ডলারে কিনে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজিতে ৭৪ থেকে ৭৮ টাকায়। আর পেঁয়াজ দিনে আমদানি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫টি ভারতীয় ট্রাকে।

বন্দরের কয়েকজন পাইকার বলেন, সামনে রমজান। তাই ছোলাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা থাকে। সেই কারণে আমরা বন্দর থেকে ক্রয় করে থাকি। তাছাড়া হিলি বন্দরে ছোলার দাম কম থাকায় আমরা ক্রয় করছি।

হিলি পানামাপোর্ট জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, সামনে রমজান উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি বেড়েছে। রমজানের আগে ছোলাবুটসহ নিত্যপণ্য দ্রব্যের আমদানি বাড়ায় বন্দরে বেড়েছে কাজকর্ম। সেই সঙ্গে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আদায়।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে হিলি বন্দর দিয়ে ছোলার আমদানি হয়েছে ৭ হাজার ৮৩২ মেট্রিক টন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০