ফোনের গতি ঠিক রাখুন

মো. ইমরান হোসেন: মোবাইল ফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। অনেকে মজা করে বলে থাকেন, অক্সিজেনের মতো হয়ে গেছে পণ্যটি। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩৫ দশমিক ৯৮২ মিলিয়ন। এদের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। অনেক ব্যবহারকারী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফোন ব্যবহার করছেন।

মাল্টিমিডিয়া ফোনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফোনের সমস্যগুলোও। নতুন একটি ফোনের গতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীর হয়ে যায়Ñব্যবহার শুরুর ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে ফোনের গতি কমে যায়। আগের মতো কাজ করে না পণ্যটি। মাঝে মাঝে ফোনে নেটওয়ার্ক ঠিকমতো পাওয়াও যায় না। অথবা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ফোনটি স্থির বা হ্যাং হয়ে থাকে। কেন এমন হয়? অনেকে মনে করেন, পুরনো হয়ে যাওয়াই এর অন্যতম কারণ।

এই সমস্যার সমাধান আপনিও করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক মাল্টিমিডিয়া ফোনেই অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ সংযুক্ত থাকে। না থাকলে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি নামিয়ে নিন। নিয়মিত অ্যাপটি ব্যবহার করুন। এছাড়া মোবাইল ফোনে একটা ক্লিন অ্যাপ রাখতে হবে। সময় পেলেই ক্লিন অ্যাপ দ্বারা ফোনটি ক্লিন করুন। তাহলে ভাইরাস থাকলে তা ডিলিট হয়ে যাবে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ফোন থেকে সরিয়ে ফেলুন। বাড়তি অ্যাপ থাকলে ফোন ধীর গতিতে চলে। তাই অতিরিক্ত অ্যাপ না রাখাটাই বাঞ্ছনীয়।

মোবাইল ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি যতটা সম্ভব হালকা রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভিডিও থাকলে ফোন ধীর গতিতে চলে। তাই যতসম্ভব ফোনে কম এমবির ভিডিও রাখুন।

ডাউনলোড কম করুন। ফোনের জাঙ্ক ফাইলগুলো সবসময় খালি রাখার চেষ্টা করুন। চার্জ দেওয়ার সময় ফোন বন্ধ করে চার্জ দিতে পারেন।

ফোন যখন অনেক বেশি ধীরগতির হয়ে যাবে, তখন রিসেট করে নিন। তাহলে আবার কিছুটা হলেও ফোনটি গতি ফিরে পাবে, যদি কোনো ভাইরাস থাকে তাও নষ্ট হয়ে যাবে। তবে রিসেট করার আগে ফাইলগুলো অন্য মোবাইল বা মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করে রাখবেন।

 

 

 

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০