শোবিজ ডেস্ক: ৩ আগস্ট বঙ্গবিডির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায় অভিনেত্রী কুসুম সিকদারের আলোচিত মিউজিক ভিডিও ‘নেশা’। যদিও এটি প্রকাশের পর থেকে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এবার সেই সমালোচনার সঙ্গে যুক্ত হলো আইনি নোটিশ। এতে বলা হয়, কুসুম সিকদার ও মডেল খালেদ হোসাইন সুজনের খোলামেলা-আবেদনময়ী উপস্থিতির কারণে মিউজিক ভিডিওটি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলার জন্য।
গতকাল রোববার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব গানটির প্রকাশক প্রতিষ্ঠান বঙ্গবিডিকে ই-মেইল, ডাক ও কুরিয়ারের মাধ্যমে এই নোটিশ পাঠান। বিটিআরসির চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব ও তথ্য সচিবকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নেশা ভিডিওটি শুরু হয়েছে ‘চোখে আমার-তোমার নেশা, শ্বাসে আমার-তোমার নেশা, সারাদেহে তোমার নেশা, তোমায় পান করে… জ্ঞান হারাই, হই মাতাল’Ñএমন উত্তেজক কথার আবৃত্তি দিয়ে।
এতে ওই আইনজীবী আরও উল্লেখ করেন, ‘ভিডিওতে একের পর এক আপত্তিকর যৌন উত্তেজক ও অশ্লীল দৃশ্য আছে। এতে পাঁচটা গোসলের দৃশ্য, সাতটা সুইমিং পুলের দৃশ্য, একটা শয্যাদৃশ্য ও তিনটা চুম্বনের দৃশ্য রয়েছে। গানের কথার সঙ্গে এসব দৃশ্যের কোনো মিল বা সংযোগ নেই। নিতান্তই গানকে দ্রুত জনপ্রিয় করার সস্তা রাস্তা হিসেবে ওইসব দৃশ্য সংযোজন করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওটির কভার ছবিও অশ্লীল ও আপত্তিকর। এমন ধরনের অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা ও পর্নোগ্রাফি আইন ২০১২-এর ৮ ধারা মতে দণ্ডনীয় অপরাধ।’
চিঠিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব ও তথ্য সচিবকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউটিউব থেকে ভিডিওটি সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউটিউব ও অনলাইনে মিউজিক ভিডিওর নামে শরীরসর্বস্ব ও অশ্লীল ভিডিও তৈরি ও প্রকাশনা মনিটরিং, রোধ ও বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আগামী এক মাসের মধ্যে বর্তমানে অনলাইনে বিদ্যমান অশ্লীল ভিডিওগুলো সরানোর অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চিঠি প্রদানকারী আইনজীবী।
এদিকে এমন নোটিশ প্রসঙ্গে কুসুম সিকদার বলেন, ‘এই বিষয়ে বলার কিছু নেই। কী বলব! নো কমেন্টস।’
কুসুমের নিজের লেখায় গানটির সুর-সংগীত করেছেন হৃদয় খান। আর ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন যৌথভাবে শুভ্র খান ও শ্রাবণী ফেরদৌস। আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে নির্মাতা শ্রাবণী ফেরদৌস বলেন, ‘আসলে কী বলব, বুঝতে পারছি না। প্রথমত, আমরা বিস্মিত। কারণ কল্পনাও করিনি এমন একটা অভিযোগ এভাবে আসবে। তবে বিষয়টি এখন আর আমাদের হাতে নেই। কারণ গানটির মালিকানা এখন বঙ্গবিডির। তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।’
এদিকে বঙ্গবিডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নোটিশটা আমরা পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে বিব্রত হয়েছি। তবে আমরা আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করছি এখন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নোটিশের জবাব দেব আমরা।’
Add Comment