এবার এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বহুজাতিক কোম্পানি এয়ারবাসের কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় কতটি উড়োজাহাজ কেনা হবে, সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী।

গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট, ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর একই হোটেলে এয়ারবাস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ সম্পর্কে আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মাহবুব আলী বলেন, ‘আজকের আলোচনা শুধু বিমান কেনার বিষয়ে, তা বলা যাবে না। এখানে আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে বিমান খাতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের অভিজ্ঞতা আমরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি, সেটিও

আলোচনায় স্থান পাবে। তাতে এভিয়েশন খাতের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মতো বিষয় থাকবে। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এরই মধ্যে এয়ারবাসের সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে।’

মাহবুব আলী আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমাদের চিন্তা আছে এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার। তবে কতটি বিমান কেনা হবে এবং কবে কেনা হবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি।’

এয়ারবাস বিশ্বের অন্যতম বড় বিমান সংস্থা, যারা বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের নকশা, নির্মাণ ও বিপণন করে। এটি ইউরোপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। ফ্রান্স, ব্রিটেন ও স্পেনে তাদের বড় অফিস ও সংযোজন কারখানা রয়েছে। এয়ারবাসের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং, যাদের কাছ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কয়েক দিন আগে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ কিনেছে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এয়ারবাস শুধু বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য এসেছে, তা-ই নয়। তারা আমাদের এভিয়েশন খাতে প্রযুক্তি বিনিময়ের পাশাপাশি শিক্ষা ও দক্ষতা-বিষয়ক সহায়তাও দিতে চায়। এর মাধ্যমে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এভিয়েশন খাত নিয়ে যোগাযোগ আরও গভীর হবে।’

বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের একটি এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার পরিকল্পনা নিয়ে দেশের বিমানবন্দরগুলো সাজাচ্ছেÑএ কথা উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, এয়ারবাসের সঙ্গে সহযোগিতা সরকারের সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

এভিয়েশন সামিটে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা আলী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এয়ারবাসের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসডুপুই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০