রবিউল ওরফে আরাভের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নামে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন-ইন্টারপোল।

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে গতকাল শুক্রবার রেড নোটিশের তালিকায় থাকা অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে তার নামও দেখা যায়। খুনের অভিযোগে নোটিশে তার নাম লেখা হয়েছে রবিউল ইসলাম রবিউল, বয়স ৩৫। জš§স্থান বাগেরহাট।

রেড নোটিশের তালিকায় যে ৬৩ বাংলাদেশির নাম রয়েছে সেখানে সর্বশেষ সংযোজন রবিউল ওরফে আরাভ খান, যার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে ইন্টারপোলে চিঠি দেয়া কথা জানিয়েছিলেন ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান জানিয়েছিলেন, রেড নোটিশ জারির পর প্রথম দুই-তিন দিন ‘পাবলিক’ হয় না। শুধু এনসিবি সদস্য দেশগুলোর কর্মকর্তারা দেখতে পান। পরে সেটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে সবাই দেখতে পান।

ইন্টারপোলের আট ধরনের নোটিশের মধ্যে রেড নোটিশ জারির অর্থ হলোÑ ওই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও বিচার বিভাগ বিচারের মুখোমুখি করতে অথবা দণ্ড কার্যকর করার জন্য খুঁজছে।

সদস্য দেশগুলো ইন্টারপোলের মাধ্যমে পলাতক আসামির সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং সে দেশের সরকার তা খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে।

অবশ্য সেক্ষেত্রে সে দেশের সরকারই তার বিচার শুরু করবে। আর তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হলে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির প্রয়োজন হবে, আর বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যে এই চুক্তি নেই। ফলে রেড নোটিশ জারি হলেও রবিউল ওরফে আরাভকে ফেরানো কঠিন।

সম্প্রতি আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি গয়নার দোকান উদ্বোধন হয়েছে ‘আরাভের’। সেটি উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে উড়ে যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী ফারদিন দীঘি, ইউটিউবার হিরো আলমসহ বিনোদন জগতের আরও কয়েকজন। আর সেই আয়োজন ঘিরে দেশে শুরু হয় তোলপাড়।

ওই অনুষ্ঠানের আগে আগে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, এই আরাভ আর কেউ নন, ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম, যিনি ভারতীয় পাসপোর্টে ?দুবাই গেছেন।

আরও প্রকাশ পায়, এই আরাভ বা রবিউল একেক সময় একেক নামে পরিচিতি পেয়েছেন। তার বাবা ছিলেন নিম্ন আয়ের একজন মানুষ, যিনি ঢাকায় এসে হোটেলশ্রমিকের কাজ করেছেন। সেই আরাভই এখন শত শত কোটি টাকার মালিক, যার অর্থের উৎস নিয়ে আছে ধোঁয়াশা।

এর আগে আরাভের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার একজন জনপ্রতিনিধি জানিয়েছিলেন, রবিউলের জš§ বাগেরহাটের চিতলমারীতে মামার বাড়িতে, সেখানেই তার অনেকটা বেড়ে ওঠা। এরপর তিনি ঢাকায় আসেন। ইন্টারপোলের রেড নোটিশেও তার জš§স্থান বাগেরহাট লেখা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় আরাভ বা রবিউলের বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গেছে নয়টি। তবে মামলার সংখ্যা আরও বেশি।

মামুন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান ২০২১ সালের ২ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচার ফয়সল আতিক বিন কাদেরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। সেখানে রবিউল ইসলামসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০