নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কোরিয়া ১৯৯০ সালে প্রচলিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বের হয়ে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করে। বর্জ্যভেদে ভিন্ন ভিন্ন বিন চালু করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফলতা অর্জন করে। একইভাবে বাংলাদেশেও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কোরিয়া। গতকাল শনিবার চিটাগং চেম্বার নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন কোরিয়া ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (কোটরা) ডিরেক্টর জেনারেল ও কোরিয়া দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর স্যাম সু কিম।
আলাপকালে স্যাম সু কিম বলেন, বাংলাদেশে রপ্তানি খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। গত শতকের আশির দশকে বাংলাদেশে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে প্রথম কারিগরি সহায়তা দেয় কোরীয় প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বাংলাদেশেও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কোরিয়া। এছাড়া শিল্প কারখানায় রুফটপ সোলার এনার্জি নিয়েও কাজ করছে কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে ভূয়সী প্রশংসা করে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোরিয়ান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। বাংলাদেশে কোরিয়ার ২০০-এর মতো প্রতিষ্ঠান থাকলেও ভিয়েতনামের বিবেচনায় এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। বাংলাদেশ কোরিয়ায় ৪০ কোটি ডলার রপ্তানি এবং ১০০ কোটি ডলারের বেশি পণ্য আমদানি করে থাকে। দু’দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া কোরিয়া প্রতি বছর প্রায় ৫০০ কোটি ডলার প্রক্রিয়াজাত মাংস ও মাছ আমদানি করে। এর মধ্যে ২০০ কোটি ডলার চিংড়ি এবং প্রক্রিয়াজাত মাছ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে কোরিয়ান প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি ও প্রক্রিয়াজাত মাছ রপ্তানির জন্য বিনিয়োগ করতে পারে।
আলোচনায় অংশ নেন চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ ও রিলায়েন্স অ্যাসেটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টসের পরিচালক ওমর মুক্তাদির। উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালকÑঅহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম) প্রমুখ।