শেয়ার বিজ ডেস্ক: সন্তান জন্ম দিলে দক্ষিণ কোরিয়ার দম্পতিদের সরকারি ভাতা দেবে দেশটির সরকার। এতে আর্থিক সহায়তা ও নানা সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। খবর: আল জাজিরা।
২০২২ সাল থেকে এ সুবিধা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় সন্তান নিলে দক্ষিণ কোরীয় বাবা-মায়েরা সরকারের কাছ থেকে এককালীন ১ হাজার ৫১০ ডলার পান। এছাড়া লালনপালনের জন্য নবজাতকের বয়স এক বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫২৮ ডলার করে দেয়া হয়। সন্তানের বয়স এক থেকে দুই বছরের মধ্যে হলে দেয়া হয় মাসে ২৬৪ ডলার। ২০২৪ সাল থেকে মাসিক সহায়তার এ পরিমাণ বেড়ে হবে যথাক্রমে ৭৫৫ ডলার ও ৩৭৭ ডলার।
এছাড়া সন্তানের স্কুলে যাওয়ার বয়স হওয়ার আগ পর্যন্ত মাসে ১৫১ ডলার করে সহায়তা দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। নি¤œ আয়ের পরিবার ও একাকী বাবা-মায়েরা আরও আনুষঙ্গিক সহায়তা পান। সন্তানসম্ভবা নারী ও নবজাতককে দেয়া হয় চিকিৎসা সহায়তা। নবজাতকের জন্য রয়েছে বিনা খরচের বেবি সিটিং সেবা।
এভাবে নিন্মআয়ের পরিবারের চিন্তা কিছুটা লাঘব করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। দেশটিতে সন্তান লালনপালনের খরচ অনেক বেশি। তবে দুটি উপায়ে এ খরচের ধাক্কা সামাল দেয়া যায় বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এর মধ্যে অন্যতম অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আনা। একই সঙ্গে সরকারি সহায়তা পাওয়া।
বাবা-মায়েরা সরকারি কেন্দ্র থেকে খেলনা কিংবা স্ট্রলারের মতো শিশুদের ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস বিনা খরচে ধার নিতে পারেন। প্রয়োজন শেষে ফেরত দিতে হয়।
এছাড়া স্থানীয় সরকারও একাধিক সন্তান নেয়ার জন্য দম্পতিদের বাড়তি সুবিধা ও সহায়তা দেয়। যেমন বুসান শহরের কোনো নারী তৃতীয় বা এর বেশি সন্তান জš§ দিলে ৭ হাজার ৫৫২ ডলার বোনাস পান। আগে এ সহায়তার পরিমাণ ছিল ৩৭৭ ডলার। স্থানভেদে কোনো কোনো কোথাও এর অর্থের পরিমাণ বাড়ে। এমনকি সন্তানের বয়স সাত বছর হওয়া পর্যন্ত সহায়তা দেয়া অব্যাহত থাকে।
মূলত নিন্ম জন্মহারের কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশগুলোর একটি দক্ষিণ কোরিয়া। গত বছর দেশটিতে সন্তান জন্মদানের গড় হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল।
