শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা বেতন বাড়ানোর দাবিতে চার দিনের ধর্মঘট পালন করছেন। দেশটির স্বাস্থ্য পরিষেবায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) ইতিহাসে এমন ধর্মঘট আগে কখনও হয়নি। হাজার হাজার চিকিৎসক হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে গত মঙ্গলবার বাইরে বের হয়ে যান।
ইংল্যান্ডে এনএইচএসের ডিরেক্টর স্টিফেন পাওইস জানিয়েছেন, এ ধর্মঘটের অভূতপূর্ব প্রভাব পড়েছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এর ফল রোগীরা ভোগ করবেন। সারাদেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপরও এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এনএইচএসের ইতিহাসে এভাবে হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছেড়ে ডাক্তারদের চলে আসার ফলে পুরো পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
কয়েক বছর আগে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকদের ধর্মঘট খুবই বিরল ঘটনা ছ্লি। তখন চিকিৎসক কম থাকার কারণে অনেক সময় রোগীদের ভুগতে হতো।
এবার জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাদের বেতন বাড়াতে হবে। কারণ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
যুক্তরাজ্যে জুনিয়র ডাক্তার কথাটা কিছুটা ভুল ধারণা তৈরি করে। দেশটিতে মোট চিকিৎসকের অর্ধেকই জুনিয়র ডাক্তারদের শ্রেণিতে পড়েন। কয়েক দশক ধরে কাজ করছেন, এমন চিকিৎসকদেরও জুনিয়র ডাক্তার বলা হয়। মূলত যে চিকিৎসকরা ফ্রন্টলাইন কর্মী হিসেবে কাজ করেন, তাদের জুনিয়র ডাক্তার বলা হয়।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ৭০ লাখ রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়ার অপেক্ষায়। এ সময় ধর্মঘটের প্রভাব তাদের ওপর পড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটির পর এ ধর্মঘটের ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল প্রভাব পড়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের ইউনিয়ন ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ৩৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি চান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে ডাক্তাররা ধর্মঘটের পথে যেতেন না। বার্কলে বলেছেন, ইউনিয়নের এ দাবি অযৌক্তিক।
যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সরকারি কর্মীরা গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। গত শীতে নার্সরা ধর্মঘট করেন। অ্যাম্বুলেন্স কর্মী, শিক্ষক, বাসচালক, ডাক কর্মীরা গত ফেব্রুয়ারিতে ধর্মঘট করেছেন।