নির্বাচনের আগে বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চায় সরকার: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন নির্বাচনের আগে বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। সরকারের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জনপ্রিয় নেতাদের আটক রাখার কৌশল নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, সরকারের এ ঘৃণ্য পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ রায়কে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, চক্রান্তমূলক, প্রতিহিংসাপরায়ণ বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

হাবিবুল ইসলামের সাজাকে ফরমায়েশি রায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মামলার আলামত সংগ্রহ ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এরপরও এ ধরনের সাজা দেশের বিচার বিভাগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটিকে একটি নীলনকশা বলেও দাবি ফখরুলের।

বিরোধীদলকে নির্মূল করতে ও জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে সরকার সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। এসব করার মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য একটাই যে, একদলীয় ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা। বিএনপি শীর্ষ নেতাদের এভাবে সাজা দিয়ে আন্দোলন নস্যাৎ করার চিন্তা সরকারের বোকার স্বর্গে বসবাস করার শামিল। জনগণ সরকারের এই চক্রান্ত সফল হতে দেবে না, যোগ করেন ফখরুল।

অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা ও জনক আওয়ামী লীগ। এটা তাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতার অংশ। অগ্নিকাণ্ডের দায় বিএনপির ওপর ‘উদর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা’। এসব করে কোনো লাভ হবে না। এসব দোষারোপ বন্ধ করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও জানান ফখরুল।

এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের আগেই সরকার প্রধানের দোষারোপ তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে বলেও দাবি ফখরুলের।

ফখরুল বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে, লবিষ্ট নিয়োগ করছে। বিএনপি বিদেশিদের কাছে স্বপ্রণোদিত হয়ে যায়নি, যতবার গিয়েছে তাদের আমন্ত্রণে গিয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে ফখরুল বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০