শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যথেষ্ট কর্মী নিয়োগ দিতে পারছে না। মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। সে তুলনায় কর্মী সংকটের কারণে কোম্পানিগুলো পর্যাপ্ত অস্ত্র তৈরি করতে পারছে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
গত বছর থেকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো শ্রমের ঘাটতি মোকাবিলা করছে। ওই সময় কভিড-১৯ মহামারির কারণে চাকরি ছেড়ে যাওয়া অনেক শ্রমিক কাজে ফেরেননি। তার পর থেকে শ্রমঘাটতির কারণে বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু তারা বলছে, গত কয়েক মাসে নিয়োগের ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।
ইউরোপে কর্মী নিয়োগের চাপ আরও তীব্র হতে পারে। ইউরোপীয় সরকারগুলো রাশিয়া নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন ছায়ায় থাকা অস্ত্র নির্মার্তাদের উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করেছে। এ কারণে খাতটিতে বিপুলসংখ্যক কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা কামানের গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এডিএস গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যামি স্টোন বলেন, অস্ত্রনির্মাতা কোম্পানিগুলো কর্মী নিয়োগ নিয়ে চিন্তিত। প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিভাবান কর্মী নিয়ে কাড়াকাড়ি বাড়ছে। সর্বশেষ নিয়োগের আগে থেকেই শূন্যপদ পূরণে হিমশিম খাচ্ছিল অস্ত্র কোম্পানিগুলো। গত বছরের শেষ দিকে এডিএসের ১০ হাজার পদ শূন্য ছিল।
ইউরোপের বৃহত্তম অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি বিএই সিস্টেমস চলতি বছর কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা করছে। একই সময় এমবিডিএ মিসাইল সিস্টেমস তাদের কর্মী সংখ্যা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। লকহিড মার্টিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের ক্যামডেনের কারখানায় আরও ২০০ কর্মী নিয়োগ দেবে।
ফরাসি অস্ত্র নির্মাতা থ্যালেসের প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিস কেইন বলেন, আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এর মধ্যে অবশ্যই কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয় রয়েছে। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির ১২ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া থ্যালেস তার বিদেশি প্রকৌশল কেন্দ্রগুলো আরও বিকাশের পাশাপাশি অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্বের ওপর নির্ভর করার পরিকল্পনা করেছে।
