তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতায় অনাগ্রহী বিদেশি কোম্পানি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পুঁজিবাজারে ব্যবসা করলেও তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী নয় বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে অধিকতর তদারকে এবং তথ্য প্রদানে আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণ দেখিয়ে বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো অনাগ্রহ প্রকাশ করছে।

গত বৃহস্পতিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এমন তথ্য জানিয়েছে।

জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে বিএসইসি জানিয়েছে, বাংলাদেশে ৪২টি বড় বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসা করলেও এর মধ্যে ১২টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, তারা বিদেশি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করলেও অধিকতর মনিটরিং এবং তথ্য প্রদানে আইনগত বাধ্যবাধতার কারণ দেখিয়ে তারা তালিকাভুক্ত হতে চায় না।

গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সেটি কার্যবিবরণীতে উঠে আসে, যা বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কমিটির গত বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়। সেখানে সংসদীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, আইএমইডি বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, আইনের সংশ্লিষ্ট কিছু ধারা সংশোধন করে অনাগ্রহী কোম্পানিগুলোকে পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত করার জন্য কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

কমিশনার আরও জানান, স্টক মার্কেটে ২০১৮ সাল থেকে জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত পুঁজি সঞ্চায়নের পরিমাণ ৫৪ হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যার মধ্যে ইক্যুইটি ও বন্ডের অনুপাত ১:১৫।

বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখার জন্য দরকার পর্যাপ্ত বিনিয়োগ, যার জন্য প্রয়োজন পুঁজি। এ পুঁজি সংগ্রহের মাধ্যম হচ্ছে ক্যাপিটাল মার্কেট। দেশের ক্যাপিটাল মার্কেট তেমন শক্তিশালী না হওয়ায় ব্যাংক থেকেও অর্থ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীরেন শিকদার ও আদিবা আনজুম মিতা।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার জন্য হেরিং বোন বন্ড-করণ (এইচবিবি) শীর্ষক প্রকল্পের কাজ করার ক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা যথাযথ রেখে রাস্তা নির্মাণের পরামর্শ দেয়া হয়। সরকারের আর্থিক অপচয় রোধকল্পে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুর্যোগ মোকাবিলায় অধিক সতর্ক থাকার জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানায় কমিটি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০