বগুড়া থেকে বাইরে যাবে তিন লক্ষাধিক

আলমগীর হোসেনঈদুল আজহা আসন্ন। উপলক্ষে বগুড়ায় প্রায় পাঁচ লাখ পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভী এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৭২টি। বাকিগুলো হচ্ছে ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি। জেলায় এবার দুই লক্ষাধিক পশু কোরবানি হবে। বাকি সব প্রাণী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাবে। ইতোমধ্যে কিছু পশু জেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রিও হয়েছে। দেশি জাতের পশুর চাহিদা রয়েছে জেলার ক্রেতাদের কাছে।

কয়েকজন খামারি জানিয়েছেন, হাট-বাজারগুলোয় পশুর চাহিদা অনুযায়ী দর নেই। তাই ভালো দামের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। গত বছরের মতো দাম পেলে লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে আশাবাদী তারা। কেউ কেউ জানিয়েছেন, এবার পশুখাদ্যের দাম বেশি। ফলে গবাদিপশু পালনে ব্যয় বেড়েছে, কিন্তু সে অনুযায়ী ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে এখনও কোনো গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারিনি। ভালো দামের আশায় আছেন অনেকে। আগামী বুধবারের হাটে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গাবতলী উপজেলার খামারি রেজাদুল হক রেজা ও হজরত আলী জানান, ভারত থেকে গরু আসছে। তাই এখনও চাহিদামতো দাম পাচ্ছি না। সে কারণে খামারিরা ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। তবে ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি আছে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পশুর ভালো দর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।

গত বছর কোরবানিতে জেলায় দুই লাখ ৩৫ হাজার পশু জবাই হয়েছিল। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এবার বগুড়ার ১২টি উপজেলায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ২৬ হাজার মৌসুমি খামারি এক থেকে পাঁচটি করে পশু পালন করেছেন। প্রসঙ্গত, কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য খামারিদের পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে অনেকে গবাদিপশু পালন করেন। কোরবানিযোগ্য করে তোলার জন্য প্রস্তুতি নেন তারা। প্রাণী মোটাতাজা করার জন্য তারা প্রাকৃতিক উপায়ই বেছে নেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা

ডা. আ. ক. শফিউজ্জামান জানান, গত বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য প্রাণীর ঘাটতি ছিল। এবার কোনো ঘাটতি থাকবে না। বরং অনেক পশু জেলার বাইরে বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা। অতীতের মতো এবারও প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।

 

 বগুড়া

 

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০