খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার কথা বললেও সরকার গ্রাহ্য করছে না: আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায়ভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, চিকিৎসকেরা বারবার বলার পরও সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নি¤œপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

গতকাল রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। এর আগে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।

আমীর খসরু বলেন, চিকিৎসকেরা বারবার খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার কথা বললেও সরকার তা গ্রাহ্য করছে না। যার কারণে খালেদা জিয়াকে দেশের চিকিৎসার মধ্যে সীমিত থাকতে হচ্ছে। এসবের উদ্দেশ্য একটাই, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বাইরে রেখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের যে প্রক্রিয়া, সেটা যেন তারা সফলভাবে করতে পারে। তারা ভীত-শঙ্কিত, কারণ দেশের ‘সবচেয়ে জনপ্রিয়’ নেত্রী খালেদা জিয়া। এই কারণে ওনাকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে দেয়া হচ্ছে না।

নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনে দেশবাসী আজকে রাস্তায় নেমেছে। চলমান আন্দোলনকে সফল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনা হয়েছে। কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনকে সফলভাবে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে কীভাবে কাজ করা হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না বলে মতৈক্য হয়েছে।

দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার নেই অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, ‘যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তাদের অপসারণই হচ্ছে একমাত্র পথ। একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। এরপর একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হবে যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০