কুষ্টিয়ার গরু উঠবে ঢাকা-চট্টগ্রামের হাটে

কুদরতে খোদা সবুজকোরবানি সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় প্রাণী মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও কৃষকরা। শেষ মুহূর্তের পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, খড়, খৈল, কুঁড়া, ভুসি, ভাতের মাড় ও খুদের ভাত খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন জেলার খামারিরা।

এ বছর জেলার লক্ষাধিক গরু ঢাকা ও চট্টগ্রামের হাটে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, কোরবানি উপলক্ষে ২০ হাজার ৬৮৬টি খামারে ৯২ হাজার ৭৪১টি গরু, ৬৩ হাজার ২৯৭টি ছাগল ও দুই হাজার ৭৯১টি ভেড়া মোটাতাজাকরণ হচ্ছে। কুষ্টিয়া শহরের আইলচারা গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, গত কোরবানির ঈদের পর পাঁচটি গরু ১২ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। গরুগুলোর পেছনে তার এক বছরে প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ঈদের আগে ঢাকায় যাওয়া পর্যন্ত আরও খরচ আছে। ঢাকায় নেওয়ারও খরচ আছে। তাই এ বছর গরু বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। রফিকুল জানান, অতীতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে অনেক ব্যাপারী খোঁজ-খবর নিতে আসতেন। অথচ এবার কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না তাদের তরফ থেকে।

স্থানীয় আইলচারা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব বাড়িতেই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু পালন করা হচ্ছে। গরুগুলো বেশ হƒষ্টপুষ্ট। আইলচারা ছাড়াও আব্দালপুর, বিত্তিপাড়া, কুমারগাড়া, কমলাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গবাদিপশুর খামার রয়েছে। এর বাইরে কুমারখালী, মিরপুর, দৌলতপুর,

ভেড়ামারা ও খোকসা উপজেলায় ছোট-বড় অনেক খামার গড়ে উঠেছে।

কয়েকজন খামারি জানান, গরু লালন-পালন কঠিন হয়ে উঠছে। গত বছরের তুলনায়

গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করতে কেউ যেন ওষুধ ব্যবহার না করেন, সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস লিফলেট বিতরণ ছাড়াও নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আশাদুল হক জানান, জেলায় এ বছর আমাদের হিসেবে প্রায় এক লাখ গরু পালন করা হচ্ছে। এদের বড় একটি অংশ যাবে কুষ্টিয়ার বাইরে। আমরা খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি। দেশে যে পরিমাণ গরু আছে তা দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

 

 কুষ্টিয়া

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০