নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে, তাই এ পরিস্থিতিতে বর্ধিত দামে চিনি আমদানি করবে কি না, সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চেয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম অনেকটাই বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন চিনির দাম ৬৭৫ মার্কিন ডলার। অথচ এক মাস আগেও তা ছিল ৫২০ মার্কিন ডলার।
এ বাস্তবতায় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা চিনি আমদানিতে এলসি বা ঋণপত্র খুলতে ‘ভীতির সম্মুখীন’ হচ্ছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, ৬৭৫ ডলার দরে প্রতি মেট্রিকটন চিনি আমদানি করলে চিনির আমদানি মূল্য পড়ে প্রতি কেজি ১৩১ টাকা; যার মধ্যে রয়েছে সরকারের শুল্ক, ভ্যাট ও অন্যান্য কর বাবদ কেজিতে ৩৫ টাকা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এ মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও দেশের বাজারে খোলা চিনির দাম সে অনুপাতে বৃদ্ধি না পাওয়ায় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা চিনি আমদানি করতে সাহস পাচ্ছেন না।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি আছে। তবে ঢাকার মগবাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি চিনি ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে হয় চিনির সরবরাহ নেই কিংবা তারা চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। এপ্রিলে সরকার খোলা চিনির দাম প্রতি কেজি ১০৪ টাকা বেঁধে দিয়েছিল।