নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৯১৫টি শেয়ার ১৩৪ কোটি ৭২ লাখ ৭৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬০৪ কোটি ৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫০ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৩১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ২০ পয়সা বেড়েছে। আর প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস ৪৯ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৮৪ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৭৪ টাকা ৭১ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১৭ টাকা ২৪ পয়সা ছিল।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫ টাকা ৮৮ পয়সা এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৭১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
এর আগের বছরে অর্থাৎ কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৩৩ পয়সা।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ৪২টি শেয়ার ১২৩ কোটি ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ১১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ কমেছে। তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৭৪৯টি শেয়ার ১০১ কোটি ১৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ২০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট এক কোটি ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬২টি শেয়ার ৭২ কোটি ৯৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে। সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ১৯০টি শেয়ার ৭২ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ০১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে। আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪টি শেয়ার ৭২ কোটি ৬৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ কমেছে। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট ৭৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৭টি শেয়ার ৬৮ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।