নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত ৬৪৮ আশ্রয়কেন্দ্র

শেয়ার বিজ ডেস্ক:ঘূণিঝড় মোখা মোকাবিলায় নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে ৬৪৮ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নোয়াখালী: নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলা ও দুর্যোগ-পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। গতকাল বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান প্রমুখ।

জানা গেছে, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মিটিং করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবী। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ১১১টি মেডিকেল টিম। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট ও সিপিবির ৫ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী ও দুর্যোগকালীন সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জরুরি সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর : ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষতি এড়াতে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়ে লক্ষ্মীপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হল রুমে এ সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় ডিসি আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষতি এড়াতে লক্ষ্মীপুরে ১৮৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে নগদ ৮ লাখ ১২ হাজার টাকা ও ৪২০ মেট্টিক টন চাল রয়েছে। জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এ সময় সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর এ আলম ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলা মেঘনা নদীর উপকূলবর্তী এলাকা। তবে এ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো সতর্কতা সংকেত দেখাতে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে এখনও নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০