শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) জানিয়েছে, ৫ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৫৯৫ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন বা ৫৯ হাজার ৫৯৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৭১৯ কোটি ডলার। খবর: এনডিটিভি।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহ ভারতের রিজার্ভ বাড়ল। ৫ মে শেষ হওয়া সপ্তাহের আগের সপ্তাহে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৫৩ কোটি ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৫৮৮ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ৫৮ হাজার ৮৭৮ কোটি ডলারে।
একই সঙ্গে দেশটির স্বর্ণ মজুতের পরিমাণ বেড়েছে। ৫ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে মজুত স্বর্ণের মূল্যমান বেড়েছে ৬৫ কোটি ডলার।
এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। তখন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৬৪৫ বিলিয়ন বা ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এরপর ২০২২ সাল থেকে ডলারের বিনিময়হার বৃদ্ধি ও আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ কমেছে। সেইসঙ্গে রুপির দরপতন ঠেকাতে আরবিআই বাজারে হস্তক্ষেপ করায় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দরবৃদ্ধি ঠেকাতে বাজারে ডলার বিক্রি করে।
সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের বিদেশি মুদ্রার মজুত ভালো অবস্থায় রয়েছে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশÑসব দেশেই বিদেশি মুদ্রার মজুত গত এক বছরে অনেকটাই কমেছে।
ভারত মূলত কম দামে রাশিয়ার তেল আমদানি করায় তার বিদেশি মুদ্রার মজুতে তেমন একটা চাপ পড়েনি। রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ২০২২ সালে ১০ গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ঋণদাতা ব্যাংক অব বরোদা। ব্যাংকটির হিসাব বলছে, মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বাড়িয়ে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত প্রায় ৫০০ কোটি ডলার সাশ্রয় করেছে। এ কারণে দেশটির বাজারে মূল্যস্ফীতিও বাড়েনি। যদিও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে রিজার্ভ কমার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি অনেকটা বেড়েছে।