প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা): সাভারের একটি অনুমোদনহীন সিলিন্ডার মজুত ও রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকার বিল্লালের কারখানায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেনÑরিফিল ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন, তার কর্মচারী শরিফুল ইসলাম, শরিফুল হোসেনের ছেলে সোহাগ, নুরনবী ও মাহলাম। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই কারখানায় বিল্লাল অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাসের খালি সিলিন্ডার সংগ্রহ করতেন। পরে ৪৫ লিটার গ্যাসের বড় সিলিন্ডার থেকে সেসব খালি সিলিন্ডারে বালু ও পানি ভরিয়ে গ্যাস রিফিল করতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকালে গ্যাস রিফিল করছিলেন বিল্লাল। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে নিমিষেই চারদিকে আগুন ধরে যায়। এই আগুনে দগ্ধ হয় শিশুসহ তিনজন।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর ওয়ালি উল্লাহ জানান, সকাল ১০টার দিকে টিনশেড গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ তিনজন দগ্ধের খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের নাম-ঠিকানা এখনও পাইনি। নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে জানানো হবে।
আরেক গ্যাস রিফিল সিলিন্ডার ব্যবসায়ী নুরন্নবী বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৪০-৫০টি এমন কারখানা রয়েছে। যেখানে বালু ও পানি মিক্সার করে সিলিন্ডারে ভরে গ্যাস অর্ধেক রিফিল করা হয়। গত ৪ মে সোহরাবের কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। এরপর থেকে আমি রিফিল করা বন্ধ করে দিয়েছি। এখানে লালন, করিম, বাদল, খোকন, বিল্লাল, বেলালসহ বিভিন্ন রিফিল ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হলেও তারা এখনও গ্যাস রিফিল করছেন। কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই সিলিন্ডার মজুত করে রিফিল করা হয়। আমরা শুধু গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে থাকি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে আশুলিয়ার উত্তর কাঠগড়া এলাকায় একটি কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় ২ জন দগ্ধ হন। ওই ঘটনার প্রায় ৯ দিন পর গতকাল একই ধরনের কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হলো।
