শেয়ার বিজ ডেস্ক : ঝিনাইদহে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলায় তিন যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলায় তিন যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ঝিনাইদহ পৌর এলাকার খাজুরা পূর্ব পাড়ার মৃত মন্তেজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া, খাজুরা জোয়ার্দার পাড়ার মন্টু মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন ও খাজুরা শেখপাড়া গ্রামের জাফর উদ্দিনের ছেলে মন্নু মিয়া।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামের সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রী তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে উঠে মাকে না পেয়ে বাড়ির পাশে একটি মোড়ে যায়। এ সময় একই এলাকার বাদশা তাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি আমবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে বাদশা, রুহুল আমিন ও মনু মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তামান্না পার্কের একটি ঘরে আটকে রাখে। রাত ১২টায় ছাড়া পেয়ে মেয়েটি বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় নির্যাতিত মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পরদিন সদর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলার অভিযুক্ত বাদশা, রুহুল আমিন ও মনু মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করাও হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারিক আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডিতরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার বাশাইল এলাকার নুরুল হক, আবুল কাশেম, তাজুল ওরফে দেলোয়ার ও বাহেজ উদ্দিন।
নিহত শিউলী আক্তার ওই এলাকার তৈমুদ্দিনের মেয়ে এবং শিবালয়ের বালুরচর এলাকার রফিক মিয়ার স্ত্রী। মামলার নথিপত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর রাতে দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর বাজারে আসামিরা গৃহবধূ শিউলী আক্তারকে ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় এবং পরের দিন সকালে জিয়নপুর নদীর পাড় থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।