পতনেও বেড়েছে বিমা খাতের দর

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কমে ৮০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। এ নিয়ে আলোচ্য খাতটিতে টানা উত্থান অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহেও এ খাতের দর বেশি বেড়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীর বিমুখ বা অনাগ্রহ ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। এতে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদরে বেশি পতন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১৮টির দর বেড়েছে এবং ৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দর বেড়েছে ২টির এবং ১টির দর কমেছে। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাংক এবং বিবিধ খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশলী এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। এরপর রয়েছে আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শেয়ারদর কমায় তৃতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ দর কমেছে।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৮১১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৯৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৫টি এবং কমেছে ১০৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৯২টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৯০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮১ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৯০ দশমিক ৯০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ২৩ পয়েন্টে।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ টাকার শেয়ার। আগের দিন ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৮টি, কমেছে ৬৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৯৪টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫১৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৪৫ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৮৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০