মুমিনুলের প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক : দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য গত শনিবারই বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৪ সদস্যের সে দলে প্রথমে মুমিনুল হককে রাখেননি নির্বাচকরা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার দলে ফেরানো হয় মুমিনুলকে। মোসাদ্দেক হোসেনের চোখের কর্নিয়া সমস্যার কারণে তার জায়গায় নেওয়া হয় এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। শেষ পর্যন্ত দলে জায়গা পেলেও মূল একাদশে মুমিনুলের জায়গা হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ, মুমিনুলের জায়গা তিনে। কিন্তু ইমরুল কায়েসকে তিনে খেলানোর ছক কষছে টিম ম্যানেজমেন্ট। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন ইমরুল।

তিনে যদি ইমরুলকে খেলানো হয়, তাহলে মুমিনুলের জায়গা কোথায়? তাহলে কি মুমিনুল প্রথম টেস্টে মূল একাদশে থাকছেন না? মিরপুর টেস্টে মুমিনুল হকের জায়গা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর সংশয়। গণমাধ্যমের চাপে ও সিনিয়র খেলোয়াড়দের পরামর্শে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরানো হলেও তার খেলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। অনেকে দাবি করছেন, কোচ হাথুরুসিংহে নিজের ‘ইগো’ ঠিক রাখতে মূল একাদশের বাইরে রাখবেন তাকে। তাহলে তো দলে অন্তর্ভুক্তিতে মুমিনুলের কোনো লাভ হচ্ছে না।

ইমরুল কায়েস জানান, তাকে তিনে খেলানোর বিবেচনায় রাখছেন কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্ট। তিন নম্বর পজিশন মাথায় রেখেই অনুশীলন করছেন তিনি। এর আগে সবশেষ কলম্বো টেস্টেও (বাংলাদেশের শততম টেস্ট) তিনে ব্যাট করেছিলেন ইমরুল। সে সময় প্রথমবারের মতো টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন বাংলাদেশের ‘ব্রাডম্যান’খ্যাত মুমিনুল।

কলম্বো টেস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে মিরপুরেÑইমরুলের কথায় এতটুকু পরিষ্কার। তিনি বলেছেন, ‘সবশেষ টেস্ট ম্যাচ, যেটা শ্রীলঙ্কায় খেলেছি, সেখানেও কিন্তু আমি তিনে ব্যাটিং করেছি। আমি আসলে কোচের সঙ্গে কথা বলেছি, কোচ আমাকে বলেছেন তিনে ব্যাটিং করার জন্য। নেটে সেভাবেই ব্যাটিং করছি। এ-ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। ওপেনার থেকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করা কঠিন, তবে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।’

একজন ওপেনারের পক্ষে তিন নম্বরে ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন। তেমনটাই মনে করেন এ বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান, ‘আমি যখন ব্যাটিংয়ে নামার জন্য প্যাড পরে বসে থাকি, তখন নিজের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করেÑকখন মাঠে যাবো। এটা আসলে মানিয়ে নিতে হয়। তামিমকে যদি দেন, ও পারবে না (ওপেনিং থেকে হঠাৎ তিনে)। একটা সময় আমিও পারতাম না। ওপেনার থেকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করা কঠিন, তবে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। এ-ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি।’

একে তো ইমরুল কায়েস হলেন একজন ওপেনার। আর মুমিনুল হক হলেন টেস্টের তিনে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান। সে জায়গা থেকে দলে থাকতে হলে মুমিনুলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে তাকে। আর এ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ইমরুল। তিনি বলেন, ‘এটা পজিটিভ দিক। টিমে হেলদি কম্পিটিশন থাকলে সেটা ভালো। কম্পিটিশন বেশি থাকলে ম্যানেজমেন্ট সবচেয়ে ভালোজনকে খেলানোর জন্য বেছে নিতে পারে। আমি বলবোÑএটা একটা ভালো দিক দলের জন্য এবং তারা পারফর্মও করবে।’

যাহোক, মূল একাদশে কে কে থাকছে বা তিনে ইমরুল, না মুমিনুল? সেটি নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হবে ২৭ আগস্ট সকাল পর্যন্ত। কারণ সেদিন থেকেই মিরপুরে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে।