১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। এটি বাস্তবায়নে সরকার ৩৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে নদী, প্রাণপ্রকৃতি ও সমুদ্রসম্পদ-ভিত্তিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন নোঙর ট্রাস্ট আয়োজিত ‘নদী আমাদের মা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নৌ-দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে লঞ্চডুবির ঘটনা দুর্ঘটনা নয়, এটা অবহেলা। আবহাওয়ার বার্তা দেয়া হয়নি। তৎকালীন সরকার নৌ-দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অবহেলা করেছে। দেশের ক্ষেত্রেও অবহেলা করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের গল্প নয়; আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, গ্রেনেড হামলা ও অস্ত্র পাচারের গল্প শুনিয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ক্ষমতায় থেকে বাংলার মানুষের প্রতি অবহেলা করেছে। বাংলার মানুষের ওপর রোলার চালিয়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেছে।

নোঙর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নদী গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, মেরিন হাইস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নৌ-স্থপতি শামসুল আলম, বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস এবং রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক সময় নৌ ও রেলপথকে বাদ দিয়ে সড়কের জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। সাশ্রয়ী নৌ ও রেলপথের প্রতি সজাগ ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান। সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ঢাকার চারপাশের নৌপথ উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। সেই নৌপথ রক্ষা করতে পারিনি। ঢাকার চারপাশের নদীর ওপর নেভিগেশনাল ছাড়পত্র ছাড়া ১৪টি লো-হাইটের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন ছাড়া নৌপথে নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা যাবে না।’ আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা এবং নৌকা ‘নদী ও নৌপথ’ নিয়ে ভেবেছে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৩ মে চাঁদপুরের মেঘনায় ‘এমভি লাইটং সান’ নামে লঞ্চডুবির ঘটনায় ২০০৫ সাল থেকে নোঙর ট্রাস্ট ২৩ মে’কে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০