শেয়ার বিজ ডেস্ক:ভারত থেকে কাশির সিরাপ রপ্তানি করতে হলে তা আগাম পরীক্ষা করানোর নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির রপ্তানিকারকদের জন্য জারি করা এ নতুন নির্দেশনা আগামী ১ জুন থেকে কার্যকর হবে। খবর: বিবিসি।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়মের কথা জানিয়েছে। ডিজিএফটি বলছে, কাশির সিরাপ রপ্তানি করার আগে রপ্তানিকারকদের সংশ্লিষ্ট সিরাপ উপযুক্ত কি না, সেই গুণমান পরীক্ষা করাতে হবে।
বাধ্যতামূলক সেই পরীক্ষা করাতে হবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত সরকারি পরীক্ষাগারে। সেখান থেকে পাওয়া ছাড়পত্রের ভিত্তিতে রপ্তানির অনুমতি পাওয়া যাবে। সরকারি পরীক্ষাগারগুলো চণ্ডীগড়, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, গুয়াহাটির মতো স্থানে অবস্থিত।
গত বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতীয় কাশির সিরাপ শিশুমৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যেমন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তানে মারা গিয়েছিল ১৮ শিশু। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছিল, ভারতের ওষুধনির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেরিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি ওষুধ সেবন করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। উজবেকিস্তানের কুয়ারাম্যাক্স মেডিকেল এলএলসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান উজবেকিস্তানে এ সিরাপ আমদানি করেছে।
এসব দেশের অভিযোগ, ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার কাশির ওষুধ খেয়ে ওই শিশুদের মৃত্যু হয়। সিরাপে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি ধরা পড়ে কোনো কোনো দেশে।
অভিযোগের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়। তারপর থেকে ভারত সরকার নড়েচড়ে বসে। বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়। একাধিক সংস্থা বিদেশে পাঠানো সব কাশির ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। উৎপাদনও বন্ধ করে দেয়া হয়।
২০২২-২৩ সালে ভারত ১৭০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের কাশির সিরাপ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছে।