নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। আর বছরের তুলনায় এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১১ পয়সা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১২ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬২ পয়সা। অর্থাৎ তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৫২ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯৯ পয়সা। এছাড়া তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৫ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১১ কোটি ৬২ লাখ ৫ হাজার ১৭৮ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৫২ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি ৪ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৮ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২৯ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ১৩ হাজার ৯২০টি শেয়ার ২০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।