নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কৃত্রিম প্রজনন ও দুগ্ধ উৎপাদনে ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে সরকার। খামারিরা মাত্র পাঁচ শতাংশ সুদে ওই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারছেন। ওই তহবিলের টাকা গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিতরণ করা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু ব্যাংকগুলোর অনীহার কারণে জুন পর্যন্ত ৮৩ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। তাই চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তহবিলের সব টাকা বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবিতরণকৃত সমুদয় অর্থ বিতরণ করতে হবে। ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ মাস মেয়াদে ওই ঋণ বিতরণ করা যাবে।
সূত্র জানায়, দেশের বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান, পুষ্টি চাহিদা ও আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে দুধের চাহিদা পূরণে এই তহবিল গঠন করা হয় ২০১৫ সালের জুনে। এই তহবিলের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে গ্রাহকরা ঋণ পাবেন তিন বছরমেয়াদি। অর্থাৎ তিন বছরের মধ্যে সুদসহ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার পাঁচ শতাংশ। ঋণ বিতরণের পর ব্যাংকগুলোর আরও পাঁচ শতাংশ সুদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দাবি করতে পারে। সরকার ওই সুদের অর্থ ভর্তুকি হিসেবে ব্যাংকগুলো প্রদান করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ওই তহবিলের ৮৩ শতাংশ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ জুন পর্যন্ত ১৭৩ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন খামারিরা। ওই তহবিলের ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। এছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক ও আইডিএলসি ব্যাংক ওই তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ করেছে।
উল্লেখ্য, ওই তহবিল থেকে একজন সর্বোচ্চ চারটি বকনা বাছুর কেনার জন্য দুই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। প্রতি বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং লালনপালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। এই ঋণ ১৪ মাসের গ্রেসপিরিয়ডসহ ৩৬ থেকে ৫৪ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
Add Comment