ক্রীড়া প্রতিবেদক: আসন্ন বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্পিন অ্যাটাক। এখন পর্যন্ত দু’দলের খেলোয়াড়রা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন অনেকবার। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বারবারই উঠে এসছে দু’দলের স্পিননির্ভরতার কথা। এটাই স্বাভাবিকÑ উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে অজিদের মধ্যে বরাবরই স্পিনভীতি কাজ করে। তারা সে ভীতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না কোনোভাবেই। তাই তারা টাইগারদের বিপক্ষে সিরিজজয়ে ভরসা রাখছে দলের স্পিনারদের ওপর।
অজি স্পিনাররা বাংলাদেশের স্পিনারদের চেয়ে দক্ষতার দিক দিয়ে এগিয়ে, এটা অকপটে স্বীকার করে নেওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের কন্ডিশনে তাদের সে দক্ষতা কতটা কাজে লাগাতে পারবেন তা ঠিক নিশ্চিত নয়। অন্তত নিজেদের মাটিতে সাকিব-মিরাজ-তাইজুলরা লায়ন-অ্যাগারদের চেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, ‘সব কন্ডিশনে বলবো না, তবে দেশের মাটিতে তাই আমাদের স্পিন অ্যাটাক ওদের থেকে ভালো। তাইজুল এবং মিরাজ দুজনই বেশ অনেকদিন ধরেই ভালো বল করছে। আমার বিশ্বাস ম্যাচ জেতানোর জন্য এ দুজন বড় ভূমিকা পালন করবে।’
গতকাল দুপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন সাকিব।
ঘরের মাঠে এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে স্পিননির্ভর উইকেট তৈরি করে লাভবান হয়েছিল বাংলাদেশ। ফলস্বরূপ স্মিথদের বিপক্ষে সিরিজেও তেমন উইকেট তৈরি করার সম্ভাবনাই বেশি। দু’দলেই রয়েছে মানসম্মত স্পিনার। তাই স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের স্পিনারদের সামর্থ্যরে বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে।
অজি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাকে নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তিনি হলেন নাথান লায়ন। এ অফস্পিনারকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় হুমকি মনে করা হচ্ছে। তার কারণও রয়েছে, ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তার ঘূর্ণিবলের কারিশমা দেখা গিয়েছিল। বিরাট কোহলিদের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন-আপ বিধ্বস্ত হয়েছিল তার সামনে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল লায়নকেই বড় হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে সাকিব লায়ন এবং অন্য অজি স্পিনারদের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশের স্পিনারদেরই।
ইংল্যান্ডের পর আরেক পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে কাবু করতে ঘরের মাটিতে স্পিন উইকেট বানানোর সম্ভাবনাই বেশি। তবে স্পিন উইকেট বানালেই যে উইকেট আগের সিরিজের মতো আচরণ করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। উইকেটের ওপর কারো হাত নেই বলে মনে করেন সাকিব। তিনি জানান, ‘ইংল্যান্ডের মতো উইকেট হলে ভালো হয়। তবে উইকেটের ওপর তো আর কারও হাত নেই। কিউরেটর তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে আগের মতোই উইকেট তৈরি করতে। তবে শুধু উইকেটের কথা ভেবে বসে থাকলেই হবে না, সাফল্য পেতে যা যা করণীয় আমাদের মাঠে তা-ই করতে হবে।’
Add Comment