দ্রুত বিদেশি এয়ারলাইনসের পাওনা পরিশোধে ৭ ব্যাংককে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ১৭৭ মিলিয়ন ডলার পাওনা দেশের সাতটি ব্যাংককে দ্রুত পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবুল বশর।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল বশর বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে রিপোর্টে এসেছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ২১৪ মিলিয়ন ডলার পাবে। তবে ব্যাংক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখা যায় বকেয়া ২১৪ মিলিয়ন নয়, ১৭৭ মিলিয়ন ডলার পাবে এয়ারলাইনসগুলো।

তিনি আরও বলেন, সাতটি ব্যাংকের কাছে এ পরিমাণ পাওনা এয়ারলাইনসগুলোর। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে ব্যাংকগুলো ডলারে পরিশোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই আমরা ব্যাংকগুলোকে অর্থ পরিশোধের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বকেয়ার পরিমাণ কমে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত বিদেশি এয়ারলাইনস খাতে ৪০২ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট দেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে মার্চ-এপ্রিল সময়ে তাদের রেভিনিউ কোম্পানির কাছে পাঠাতে হয়। তাই ব্যাংকগুলোর এ সময় পেমেন্ট করার একটা চাপ তৈরি হয়। এছাড়া বর্তমানে ডলার সংকট থাকার কারণে ব্যাংকগুলো পেমেন্ট করতে বিলম্ব করছে।

ডলারের চাহিদা কমাতে এয়ারলাইনসগুলোর কাছে টাকায় জ্বালানি তেল বিক্রির বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হচ্ছেÑউল্লেখ করে আবুল বশর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্টের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, টাকায় তেলের দাম পরিশোধ করার সুযোগ আছে এয়ারলাইনসগুলোর। বর্তমানে অধিকাংশ এয়ারলাইনস বাংলাদেশি তেল কোম্পানি থেকে ডলারে জ্বালানি তেল কিনে থাকে। ডলারের চাহিদা কমাতে এই লেনদেনটি টাকায় করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উড়োজাহাজ শিল্পের আটকে থাকা অর্থের ৬৮ শতাংশ আটকে রয়েছে পাঁচটি দেশে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। আইএটিএর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ২১৪ মিলিয়ন ডলার আটকে রয়েছে।

আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ জানান, এমন পরিস্থিতিতে এয়ারলাইনসগুলো এসব বাজারে তাদের সেবা চালিয়ে যেতে পারে না। কারণ এসব বাজারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে আসা রাজস্ব ফেরত আনা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব। এই পরিস্থিতি সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে, সরকারকে এই শিল্পের সঙ্গে কাজ করতে হবে, যেন উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০