শেয়ার বিজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরে স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। খবর: আল অ্যারাবিয়া।
গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে সম্মত হন ব্লিঙ্কেন ও সৌদি যুবরাজ।
৬ জুন সৌদি আরব সফরে গিয়ে দেশটির যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাট মিলার জানান, বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের নেতৃত্বে আইএসআইএসকে পরাজিত করার বিষয়ে বৈঠকের আয়োজন করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অব্যাহত প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেন ব্লিঙ্কেন।
মিলার বলেন, উভয় পক্ষ ইয়েমেনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য একটি ব্যাপক রাজনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অঙ্গীকার করেছেন।
সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার উপায় এবং আঞ্চলিক ও সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন যুবরাজ বিন সালমান ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্লিঙ্কেন ও সালমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করা নিয়ে আলোচনা করেছেন, বিশেষ করে ক্লিন এনার্জি এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে।
সম্প্রতি সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে দেশটি থেকে শত শত মার্কিন নাগরিককে সরিয়ে নিতে সৌদি আরবের সহযোগিতা এবং সেখানে যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে কূটনৈতিক আলোচনায় রিয়াদের চলমান অংশীদারিত্বের জন্য যুবরাজকে ধন্যবাদ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কয়েক বছর ধরে ইরান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও তেলের দাম নিয়ে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু করার পর এই প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটিতে গেলেন। সফরকালে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবার অন্য সৌদি নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন অব ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিসের পরামর্শদাতা রিচার্ড গোল্ডবার্গ বলেন, ব্লিঙ্কেনের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো চীন ও সৌদি আরব যাতে খুব কাছাকাছি না আসে, তা নিশ্চিত করা।
ব্লিঙ্কেনের এই সফরের দুইটি উদ্দেশ্যÑ প্রথমটি, তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বজায় রাখা। দ্বিতীয়টি, মধ্যপ্রাচ্যে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব খর্ব করা। এছাড়া তাদের আশা, সৌদি ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্কও এবার ভালো হবে।
