শেয়ার বিজ ডেস্ক: এক জরিপে দেখা গেছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় অর্ধেক তাদের অফিসের আকার কমানোর কথা বলেছে। কভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী সময়ে তৈরি হওয়া জটিল কর্মপরিবেশে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
তবে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে ছোট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্র্যাংক ও আবাসন ফার্ম ক্রেসা এই জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে, এমন ৩৫০টি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের মতামত নেয়া হয়েছে।
জরিপে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫০ শতাংশ জানিয়েছে, তারা তাদের বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্র বা অফিসের আকার কমিয়ে আনার চিন্তা করছে। যদিও এই সংকোচন কেবল ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে হবে বলে জানিয়েছে তারা। আর প্রায় অর্ধেক (৪৭ শতাংশ) প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা তিন বছরের মধ্যে তাদের করপোরেট সদর দপ্তর প্রতিস্থাপন বা সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে।
তবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে ছোট কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে। জরিপে দেখা গেছে, ১০ হাজারের মতো কর্মী রয়েছে, এমন ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫৫ শতাংশ জানিয়েছে, তারা তাদের বৈশ্বিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর আশা করছে।
কভিডকালে অনেক প্রতিষ্ঠানই রিমোট ওয়ার্ক, অর্থাৎ বাসা কিংবা দূরবর্তী স্থানে বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিল। এরপর তা বদলেছে হাইব্রিড মডেলে। অর্থাৎ যেখানে কর্মীরা তাদের সময়কে ভাগ করে নিয়ে অফিস ডেস্ক এবং দূরবর্তী স্থানে বসে কাজ করবেন।
নতুন এই জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকের বেশি (৫৬ শতাংশ) প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্য একটি হাইব্রিড মডেলের পক্ষে। এক-তৃতীয়াংশ কোম্পানি (৩১ শতাংশ) জানিয়েছে, তারা ‘অফিস ফার্স্ট’ বা সশরীর অফিস পদ্ধতির পক্ষে। আর মাত্র ১২ শতাংশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের সম্পূর্ণ নমনীয়ভাবে (রিমোট অফিস) কাজ করতে দেয়ার পক্ষপাতী।
এই মিশ্র মতামতের কারণে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান মনে করছে, আগামী তিন বছরে তাদের কর্মক্ষেত্র পরিচালনা আরও অনেক বেশি জটিল হয়ে উঠবে। কারণ সরাসরি অফিস ও দূরবর্তী কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অনেকের জন্য কঠিন হবে।