শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং দেশটির কনজারভেটিভ টোরি দলের সংসদ সদস্য বরিস জনসন পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন। খবর: বিবিসি।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বরিস জনসন এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জন্য তাকে পার্লামেন্ট ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।
কভিডকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে করা পার্টি নিয়ে জনসন হাউস অব কমন্সকে বিভ্রান্ত করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পেয়েছিল পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ হাউস অব কমন্সের প্রিভিলেজেস কমিটি। বরিস কমিটির খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।
বিবৃতিতে জনসন এ কমিটিকে ক্যাঙ্গারু কোর্ট অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, তথ্যউপাত্ত যা-ই থাক না কেন, আমাকে দোষী বানানোই ছিল কমিটির উদ্দেশ্য।
প্রিভিলেজেস কমিটি বলেছে, তারা পদ্ধতি ও নির্দেশনা অনুসরণ করেছে। অন্য দলের সদস্য থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ রক্ষণশীল সংসদ সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটি জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার তদন্তের সমাপ্তি টানা হবে। এরপর যত দ্রত সম্ভব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
বরিসের পদত্যাগের ফলে এখন তার আসন অক্সব্রিজ ও সাউথ রুইসিøপে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই আসনে তিনি সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন।
খসড়া প্রতিবেদন সম্পর্কে বরিস বলেন, ত্রুটিপূর্ণ ও উল্টোপাল্টা কথায় বিষয়টি সাজানো। এটা পরিষ্কার, আমাকে পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিতে তারা আমার বিরুদ্ধে যাবতীয় পদ্ধতি ব্যবহারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। আমি জেনেশুনে বা বেপরোয়াভাবে কমন্সকে বিভ্রান্ত করেছিলাম, এ-সংক্রান্ত কোনো প্রমাণও দিতে পারেনি তারা। আমি মিথ্যা বলিনি।
বরিস জনসন বর্তমান ঋষি সুনাকের সরকারেরও কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, পরিপূর্ণ রক্ষণশীল হতে ভয় পাওয়া উচিত নয় আমাদের। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ঝুঁকির মুখে আছে বলে সতর্কও করেছেন তিনি।
এদিন বরিসের সঙ্গে পদত্যাগ করেন নাডাইন ডরিসও। তার আসন মিড বেডফোর্ডশায়ারেও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বরিস বলেন, আপাতত পার্লামেন্ট ছেড়ে যাওয়ায় আমি খুবই মর্মাহত। বিশ্লেষকদের ধারণা, পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেও এখনই রাজনীতি ছাড়ছেন না তিনি।
