নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ২৯ জুনকে ঈদুল আজহা ধরে এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় একযোগে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। বিক্রি শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতিটি ট্রেনের আসন খালি হয়ে যায়।
টিকিটপ্রত্যাশীদের মধ্যে যারা প্রথমে ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ঢুকতে পারেননি, তারা পরে ঢুকে আর কোনো খালি আসন পাননি। টিকিট না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। অন্যদিকে যারা পেয়েছেন, তারা আনন্দে ভাসছেন। টিকিট পাওয়া ও না পাওয়া নিয়ে মিশ্র প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।
তাসনিমুল হক নামের একজন ফেসবুকে জানান, ‘রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা আলাদা সময়ে ছাড়ার জন্য রেলওয়েকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের সার্ভার অনেক স্মুথ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ সুন্দরবন এক্সপ্রেসের নতুন সংযোজনকৃত কোচে ভ্রমণ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
জাহিদুল হক জাহিদ নামে একজন লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! ৪টি নন এসি পেয়েছি। তাও আবার মোবাইল দিয়ে। এসি করতে পারলাম না; ফ্যামিলি/বাচ্চাসহ একটু কষ্টই হবে মনে হচ্ছে। ল্যাপটপ দিয়ে ঢুকতেই পারিনি আজ। গন্তব্য: ঢাকা-সান্তাহার। ধন্যবাদ বাংলাদেশ রেলওয়ে; বাসায় বসে টিকিট কাটার মতো আয়োজন করার জন্য। অব্যাহত থাকুক সকল ভালো প্রয়াস।’
নাফিউল ইসলাম নাহিদ লিখেছেন, ‘৮টা থেকে টিকিট দেয়া শুরু। অদ্ভুতভাবে ৮টার আগে এসির টিকিট হাওয়া। সাথে নামমাত্র কিছু নন-এসি টিকিট।’
রাশেদুল শেখ লিখেছেন, ‘জীবন যুদ্ধে হেরে গেলাম। অনেক চেষ্টা করেও পেলাম না। আমার ২৩ তারিখে চিটাগং থেকে ঢাকার টিকিট কাটা আছে। ভেবেছিলাম সকালে নেমে ২৪ তারিখে রংপুর এক্সপ্রেসে যাত্রা করব। কিন্তু সে আশা পূরণ হলো না।’
টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, এবারই দুটি জোন ভাগ করে ভিন্ন সময়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রি চলছে। গতবার একসঙ্গে আড়াই কোটি পর্যন্ত ক্লিক পড়েছিল। সেখানে এবার ক্লিক হয়েছে মাত্র ৪০ লাখের মতো। দুটি জোন ভাগ করে দেয়ায় ক্লিকের সংখ্যা কমে এসেছে। এর জন্য কোনো বাফারিং হয়নি। টিকিটপ্রত্যাশীদের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।
বিক্রির শুরুতেই টিকিট শেষ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকিট বিক্রির ক্যাপাসিটি অনেক। সেখানে টিকিট আছে মাত্র ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার। সবাই টিকিট পাবেন না। বিক্রি শুরুর পর টিকিট না থাকাটাই একেবারেই স্বাভাবিক। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ৪০ লাখ হিট পড়েছে। অন্যদিকে রেলওয়ে নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট হচ্ছে ১৮ লাখ।’
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা টিকিট পেয়েছেন, তাদের তালিকা বিকালের দিকে আমাদের বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হবে। এখানে আমাদের কারচুপির কিছু নেই।